




বিহারের এক মেয়েকে তার পরিবারের সদস্যরা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিয়ে দেয়। কিন্তু মেয়েটি তার বিয়ে মানেনি এবং সুযোগ পেয়েই প্রেমিককে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং শুধু তাই নয় মেয়েটির চলন্ত ট্রেনে প্রেমিকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যায়। মেয়েটির পরিবার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারে। এই অন্যতম বিবাহ নিয়ে পুরো গ্রাম আলোচনা মুখর হয়ে ওঠে।





এই ঘটনাটি বিহারের সুলতানগঞ্জ এর ভিরখুরদ পঞ্চায়েতের। তথ্যমতে মাত্র দুই মাস আগে গ্রামের একটি মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু মেয়েটি এই বিয়েতে খুশী হয়নি। কারণ সে অন্য কাউকে ভালবাসত, মেয়েটি তার পরিবারের সদস্যদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু তারা তাঁর কথায় কান দেয়নি এবং জোর করে তার বিয়ে দিয়ে দেয়।





শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পরেও মেয়েটির ভালবাসা কমেনি তিনি প্রায়ই তার প্রেমিকের সাথে দেখা করতে যেতেন। এই সমস্যার সমাধান খুঁজে পেয়ে মেয়েটি তার প্রেমিককে নিয়ে পালানোর পরিকল্পনা তৈরি করে। পরিকল্পনা অনুসারে বুধবার মেয়েটি বাজারে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় কিন্তু বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা চিন্তা করতে থাকে।





কিছুক্ষণ পর তারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজের মেয়ের দ্বিতীয় বিয়ের সম্পর্কে তথ্য পায়। বাজারে যাওয়ার অজুহাতে মেয়েটি তার প্রেমিকের কাছে চলে যায়। এরপরেই দুজনেই একটি ট্রেন ধরেন এবং ট্রেনের মধ্যেই বিয়ে করে নেন। এই সময় ট্রেনে উপস্থিতিতে যাত্রীরা তাদের আশীর্বাদ করেন এবং একই সাথে তাদের বিয়ের একটি ভিডিও করা হয়।





তাদের বিয়ের এই ছবি এবং ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায়। বলা হচ্ছে প্রেমিক ও তার গ্রাম থেকে পালিয়ে আসে যাতে তারা একসাথে থাকতে পারে এবং পরিবারের সদস্যরা তাদের বিরক্ত করতে না পারে। তারপরে তারা ট্রেনে করে শহরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপরে তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলে ট্রেনের মধ্যে বিয়ে করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।





ছেলেটি মেয়েটিকে মঙ্গলসূত্র পরায় এবং সিঁদুর পরায়। বিয়ের পরে দুজনেই তাদের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের ভিডিওটি পোস্ট করার অল্প সময়ের মধ্যেই মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা এবং গ্রামের সমস্ত লোক তাদের বিয়ের বিষয়টি জানতে পারে। সেই থেকে এই বিয়ে নিয়ে গ্রামে অনেক আলোচনা হচ্ছে। একই সাথে মেয়েটির প্রথম স্বামী এখনো কোনো রকম কোনো মামলা করেননি।।




