




আপনি নিশ্চয়ই বিহারের বাসিন্দা জিতেন রাম মাঞ্জির কথা শুনেছেন। নিজের মতো করে বিশাল পাহাড় কেটে তিনি যেভাবে পথ তৈরি করেছিলেন তার ফলে সারা দেশে তিনি উদাহরণ হয়ে গিয়েছিলেন। এটি দেখে পুরো দেশ অবাক হয়ে গেছিলো যে কিভাবে একজন একা মানুষ পাহাড় কেটে ফেলতে পারে। আজ আমরা আপনাকে তেমনি একজন এর গল্প বলবো।





মধ্যপ্রদেশের মহিলারা জলের সংকট দূরীকরণের জন্য এমন এক উদ্যোগ নিয়েছিল যে মাত্র 18 মাসে 107 মিটার দীর্ঘ একটি পাহাড় কেটে একটি উপায় তারা বার করে। আজ আমরা আপনাকে দেশের এই মহিলাদের সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে যাচ্ছি যে কেন তারা দীর্ঘ এবং প্রশস্ত পাহাড় কাটাতে বাধ্য হয়েছিল। আর যিনি এই পাহাড়টি কেটেছিলেন তার নাম ববিতা রাজপুত।





ববিতা মধ্যপ্রদেশের বুন্দেলখন্ডে অবস্থিত ছত্রপুর আগখোরা গ্রামের বাসিন্দা। আজ আমরা আপনাকে ববিতার গল্পটি বলছি কারণ 19 বছর বয়সে ববিতা জল সংরক্ষণের জন্য যে কাজটি করেছে তা সত্যিই অবিস্মরণীয়। ববিতা খুব দুঃখিত যে তার গ্রামে কোনো জল নেই তাই সে পাহাড় কেটে একটি উপায় তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।





ববিতা জানতেন যে পাহাড় কাটা কেবল তার একার কাজ নয় এজন্য তিনি গ্রামবাসীদের সচেতন করা শুরু করেন। ববিতা গ্রামের মানুষের কাছে জলের মূল্য বোঝাতে শুরু করে এবং যদি তাদের গ্রামে জল আসে তবে কীভাবে তাদের গ্রামের চিত্র বদলে যাবে সেটি তাদের বোঝাতে থাকে। গ্রামীণ মহিলারা ববিতার এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছিল এবং পরমার্থ সমাজসেবী সংস্থার সহায়তায় প্রায় 107 মিটার দীর্ঘ এ পাহাড় কাটা হয়েছিল।





গ্রামের প্রায় শতাধিক মহিলা এই পাহাড় কাটাতে তাদের শ্রম দিয়েছিল যে টি সম্পূর্ণ হতে সময় নিয়েছিল 18 মাস। পাহাড় কাটার পরে পুকুরকে খাল এর সাথে যুক্ত করা হলো। এর ফলে পুকুরে সর্বদা জল থাকতে লাগলো। যখন পাহাড়ে বৃষ্টি হত তখন সমস্ত বৃষ্টির জল পাহাড় এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতো যার কারণে পুকুরটি সর্বদা শুষ্ক থাকত। এই পুকুরটি বিশাল আকারের।





40 একর জমি জুড়ে বিস্তৃত এই পুকুরটি। মহিলারা 18 মাস কঠোর পরিশ্রম করে এই কঠিন কাজটি করে দেখিয়েছেন। পুকুরটি জলে পূর্ণ হওয়ার কারণে গ্রামের নলকূপ গুলোতে ও জল আসছে। আজ পুরো গ্রাম খরা থেকে মুক্তি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছিল যে, বুন্দেলখন্ডের বাসিন্দা ববিতা রাজপুত এর কাছে পুরো গ্রামবাসী কৃতজ্ঞ থাকবে।





গ্রামে একটি বিশাল পুকুর ছিল যা শুকিয়ে গেছে, গ্রামের অন্যান্য মহিলারা ববিতার সহায়তায় পুকুরের জল নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি খাল তৈরি করেছিলেন। এই খাল থেকে বৃষ্টির জল সরাসরি পুকুরের মধ্যে যেতে শুরু করে এবং এখন এই পুকুর জলে পূর্ণ রয়েছে। ববিতা যখন জানতে পারলেন যে মানকি বাত প্রোগ্রামে প্রধানমন্ত্রী মোদী তার প্রশংসা করেছেন তিনি তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।।




