




করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় প্রভাব এখন দুর্বল হতে শুরু করেছে। প্রতিদিন আসা করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। অনেক রাজ্য আবার পর্যায়ক্রমে আনলক করার প্রক্রিয়াটি ধীরে ধীরে শুরু করছে। তবে, এক্ষেত্রে মুদির দোকানগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অনেক লোক বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন রেশন ও জল নিতে। তবে একটা বিষয় সবাইকে মনে রাখতে হবে যে,





করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও মাস্ক নিয়ে আমাদের কোনো গাফিলতি করা যাবে না। আমাদের সবাইকেই আগের মতোই করোনার সাথে সম্পর্কিত সব নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে। এখনও সাধারন মানুষের মাস্ক পরা প্রয়োজন। যদি কোনো ব্যক্তি মাস্ক ছাড়া বাইরে আসে, তাহলে পুলিশ তার জরিমানা করতে পারে। আসলে, করোনার তৃতীয় প্রকোপ কখন আসবে সে সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না।





তবে, করোনার এই তৃতীয় প্রকোপ শিশুদের জন্য সবচেয়ে বেশী বিপজ্জনক হতে পারে। সুতরাং, শিশুদেরও তাদের সুরক্ষার জন্য মাস্ক পড়া প্রয়োজন। এ জাতীয় পরিস্থিতিতে, বাচ্চাদের কাছে মাস্কের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা বড়দেরই কর্তব্য হয়ে ওঠে। সাধারণত এটি একজন পিতা-মাতার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু সম্প্রতিই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে,





একজন পুলিশ একটি বাচ্চাকে এই জিনিসটি বোঝাচ্ছেন। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হচ্ছে। এই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে, একটি বাচ্চা তার বাড়ির জন্য রেশন কিনতে বাজারে এসেছে। সেই সময় বাচ্চাটির মুখে কোনো মাস্ক পরা ছিল না। এই পরিস্থিতিতে মাস্ক না থাকার কারণে পুলিশ তাকে থামিয়ে দেয়। এবং তাকে পরামর্শ দেওয়া শুরু করে।





এরপরে, অন্য আরেকজন পুলিশ এসে বাচ্চাটিকে ভালোবাসার সাথে নিজের হাতে মাস্ক পরিয়ে দেন। এই দৃশ্যটি সত্যিই খুব মনোরম। এটি দেখে মনে হচ্ছে যেন, কোনো একজন পিতা তার পুত্রকে তার সুরক্ষা সম্পর্কে পরামর্শ দিচ্ছেন। এই ভিডিওটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে লাইক করেছে। এখনও পর্যন্ত এই ভিডিওটি 3 কোটিরও বেশি মানুষ দেখেছেন এবং 16 লক্ষেরও বেশি মানুষ এটিকে লাইক করেছেন।





পুলিশ এবং বাচ্চাটির মধ্যে এই মনোরম দৃশ্য দেখে জনসাধারণ খুবই খুশি হয়েছেন। তারা সকলেই পুলিশকর্মীর প্রশংসা করে বলেছেন যে, সমস্ত পুলিশ সদস্যদেরই এরকম যত্নশীল ও সদয় হওয়া উচিত। এরকম আরো অনেক আকর্ষণীয় মন্তব্য এই ভিডিওটিতে রয়েছে। বাচ্চারা এখনও মাস্ক এবং করোনার সাথে সম্পর্কিত নিয়মের গুরুত্বটা জানেনা। এজাতীয় পরিস্থিতিতে, বাচ্চাদেরকে গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা বড়দেরই কর্তব্য।।