




আজ আমরা আপনাদেরকে এমন একটি পরিবারের সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি, যেটি বিশ্বের বৃহত্তম পরিবার হিসেবে পরিচিত। এই পরিবারটি হলো ভারতের মিজোরাম শহরে বসবাসকারী জিওনা চানার পরিবার। এই পরিবারের মোট 181 জন লোক বাস করে। এই পরিবারের প্রধান হলেন চানা, যার 39 জন স্ত্রী রয়েছে। এই স্ত্রীদের মধ্যে তার মোট 94 জন সন্তান রয়েছে।





চানা তার এই পরিবার নিয়ে মিজোরামে 100 টি ঘরের একটি বাড়িতে থাকেন। এখানে তার 14 জন পুত্রবধূ রয়েছে, যার কাছ থেকে তার 33 জন নাতি-নাতনি রয়েছে। 181 জনের এই পরিবারে, মহিলাদের বেশিরভাগ সময়ই রান্নাঘরে ব্যয় হয়। এবং এই পরিবারের বেশিরভাগ অর্থ তাদের খাওয়া-দাওয়াতেই ব্যয় হয়। এই পরিবারে প্রতিদিন প্রায় 100 কেজি ডাল ও চালের রান্না করা হয়।





এটি কেবল তাদের মধ্যাহ্নভোজন এবং রাতের খাবারের জন্য। এই পরিবারটি একদিনে প্রায় 40 কেজি মুরগি খায়। যেহেতু নিরামিষ খাবার রান্না করতে কম সময় লাগে, তাই তারা নিরামিষ খাবারই খেত। তবে তারা বাজার থেকে শাকসবজি কিনে এনে অর্থ ব্যয় করতেন না। এই পরিবারটি নিজেরাই পালংশাক, বাঁধাকপি, সরিষা, মরিচ এবং ব্রোকলি ইত্যাদির চাষ করতেন।





বাড়ির বাগানেই তারা চাষ করতেন, এর ফলে তাদের প্রচুর অর্থ সাশ্রয়ও হত। বাড়ির মহিলারা সাধারণত শাকসবজি চাষের কাজেই ব্যস্ত থাকতেন। তারা এই কাজে প্রাকৃতিক সার ব্যবহার করতেন। পরিবারের পুরুষরা কৃষিকাজ এবং পশুপালন করে যা উপার্জন করতেন, তাই দিয়েই তাদের পরিবারের খরচ চালাতেন। কিন্তু এই লকডাউন এর কারণে তারা একটু সমস্যায় পড়েছেন।





এই করোনা মহামারীর আগে পরিবারের সদস্যরা শাকসবজি এবং হাঁস-মুরগি থেকে উপার্জন করতেন। কিন্তু লকডাউনে সেই উপায়টিও শেষ হয়ে গেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে যে, এই পরিবারটি এখন কিভাবে বেঁচে থাকবে? এই পরিবারটি তাদের প্রিয়জনের কাছ থেকে অনুদান পায়। একটি সাক্ষাৎকারে, এই পরিবারের প্রধান বলেছিলেন যে, সেখানে অনেক লোক আছে যারা তাকে ভালবাসে এবং তারা তাকে অনুদানও দিয়েছেন।





এই জিওনা চানা 1942 সালে একটি গোষ্ঠীর প্রধান ছিলেন। যেটি অনেক বিবাহের অনুমতি দেয়। এখনো অবধি এই গোষ্ঠীতে মোট 400 টি পরিবার নিবন্ধ রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে, খুব শীঘ্রই এই গোষ্ঠীটি বিশ্বের বৃহত্তম সমাজে পরিণত হবে। যাদের প্রধান উদ্দেশ্য হবে শিশু উৎপাদন করে, তাদের সমাজের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।।




