




সময়ের সাথে সাথে আমাদের স্বাচ্ছন্দ্যেরও অনেক বদল ঘটেছে। আগে ফ্যাশনের নামে, খুব অস্বস্তিকর ও শক্ত ধরনের পোশাকগুলি প্রচলিত ছিল। যা দীর্ঘক্ষন পড়ে থাকা বেশ কঠিন ছিল এবং সেই কাপড়গুলো ধোয়াও বেশ কষ্টকর ছিল। তখনকার সমাজে, পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে যে বৈষম্য ছিল তার প্রভাব তাদের পোশাক এর মধ্যেও দেখা যেত।





মেয়েরা যে ধরনের জিন্স পরত, তা পুরুষদের জিন্সের থেকে ভীষনই আলাদা ছিল। মেয়েদের জন্য তৈরি, জিন্সের পকেটগুলি খুব ছোট ছিল এবং পুরুষদের জিন্সের পকেটগুলি তার তুলনায় বড় ছিল। তবে সময়ের সাথে সাথে এই পার্থক্যটিও সমাজ থেকে মুছে যায়। বর্তমানে মেয়েদের এবং ছেলেদের জিন্সের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই।





আমরা আমাদের রোজকার জীবনে এমন অনেক কিছুই দেখতে পাই বা লক্ষ্য করি, যার অর্থ বা কারণ কোনোটিই আমরা জানি না। যেই জিন্সের কথা আমরা বলছি, যা এখন বেশিরভাগ লোকেরাই পরেন। তবে তারা কি জানেন, যে এই জিন্সের পকেটের উপর যে ছোট পকেট থাকে আর সেই ছোট এবং বড় পকেটগুলির মাথায় যে ছোট বোতাম রয়েছে,





তাদের অর্থ কি? এবং সেগুলি কেনইবা সেখানে রাখা হয়েছে? হয়তো সেটা আপনিও জানেন না। এই কারণটি জানতে হলে, আপনাকে প্রথমে জিন্সের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। 1829 সাল থেকেই জিন্সের ছোট পকেটের ইতিহাস শুরু হয়েছে। সেই সময় খনিতে কাজ করা শ্রমিকদের জন্যই এই জিন্স তৈরি করা হতো। সেই সময় বেশিরভাগ শ্রমিকের অভিযোগ ছিল যে,





তাদের জিন্সের পকেট প্রায়শই ছিড়ে যায়। তারপরে জ্যাকব ডেভিস নামের একজন দর্জি এই সমস্যা সমাধানের জন্য জিন্সের পকেটগুলির শীর্ষে ছোট বোতাম লাগিয়ে দেন। যেগুলিকে রিবেটস বলা হত। তিনি এই বোতামগুলি লাগিয়েছিলেন কারন, এতে পকেটগুলি শক্ত হবে এবং তাড়াতাড়ি ছিড়ে যাবে না। এইজন্যেই পকেটগুলির মাথায় ছোট বোতাম ব্যবহার করা হয়।





এছাড়া জিন্সের ছোট পকেটগুলিকে নিজেদের সুবিধার্থে বিভিন্ন ধরনের জিনিস রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। পেনড্রাইভ এর মত ছোট ছোট জিনিস রাখার জন্য এটিকে ব্যবহার করা হয়। তবে পূর্ববর্তী সময়ে পকেট ওয়াচ্ রাখার জন্যই জিন্সে ছোট পকেট তৈরি করা হয়েছিল। এখন জিন্সের এই ছোট পকেট এবং এর বোতামগুলি ফ্যাশনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা প্রত্যেকটি জিন্সেই ব্যবহৃত হয়।।




