




আমাদের ধারাবাহিক সাফল্যের গল্পগুলিতে আমরা আপনাকে এমন লোকদের সম্পর্কে বলি যারা অনেক সংগ্রামের পর সাফল্য অর্জন করেছে। আজ আমরা আপনাকে এমন একজন আইএএস অফিসার সম্পর্কে বলব যিনি শৈশবে গরু চরাতেন। তবে তার কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠ তাকে আইএএস অফিসার করে তুলেছিল। এই মহিলার নাম সি বনামতি। আসুন জেনে নেওয়া যাক তার সাফল্যের গল্পটি।





কেরালার এ রোড জেলার একটি ছোট্ট গ্রামে বাস করা সি বনামতি খুব সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাদের পারিবারিক অবস্থা খুব ভাল ছিল না তাই তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়ির কাজে সহায়তা করতে হতো। বনামতি বাড়ির পশুপালনের কাজ করতো। পড়াশোনার পাশাপাশি তাকে অনেক সময় তাদের মহিষ চরাতে যেতে হতো।





তার প্রাথমিক শিক্ষা যে বিদ্যালয় হয়েছিল তার অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না তবুও সেই বিদ্যালয়ে পড়াশোনার শীর্ষে ছিলেন তিনি। স্নাতকোত্তর শেষ করার পরে তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি পেয়েছিলেন। চাকরি পাওয়ার পরে তার বাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা আস্তে আস্তে ঠিক হতে শুরু করে সবকিছু সামলে উঠে তিনি নিজের আইএস হওয়ার স্বপ্নকে কখনো দুর্বল হতে দেননি।





নিজের কিছু অর্থ দিয়ে এবং পরিবারের সব সহায়তা নিয়ে তিনি ইউ পি এস সির প্রস্তুতি শুরু করেন। সাধারণ পরিবারের সদস্য হওয়ায় দ্বাদশ শ্রেণীর পর থেকেই তার ওপর বিয়ের চাপ দেওয়া শুরু হয়। তার পরিবার এবং আত্মীয় স্বজনেরা তার ওপর সর্বাত্মক চাপ দিত। তবে একবার তিনি গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতী নামে একটি টিভি সিরিয়াল দেখেছিলেন এবং সেই সিরিয়ালের অভিনেত্রী একজন আইএএস অফিসার ছিলেন।





সিরিয়াল দেখার পরেই তার অফিসার হওয়ার ইচ্ছা আরো বেড়ে যায়। বনামতি পড়াশোনায় খুব ভাল ছিল তাই তিনি তার প্রথম প্রয়াসে প্রাক এবং মেন পরীক্ষা পাস করে যান। ভাইবার দুদিন আগে তার বাবার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে যার ফলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। এটি ভানুমতির পরীক্ষার উপর খারাপভাবে প্রভাব ফেলে।





এই কারণে তিনি প্রথম প্রয়াশের ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। তবে তিনি হাল ছাড়েননি এবং দ্বিতীয়বার ইউপিএসসি পরীক্ষার চেষ্টা করেছিলেন । এবার তার কঠোর পরিশ্রমের ফল স্বরূপ 2015 সালে তিনি সাফল্য পেলেন। তিনি ইউ পি এস সি পরীক্ষায় 152 তম স্থান অর্জন করেছিলেন। তার এই সাফল্যের গল্পটি সমগ্র নারী জাতিকে এক নতুন অনুপ্রেরণা যোগায়।।




